শুধু গরমকাল নয়, শীতকাল ছাড়া বছরের যে কোনো সময় এসি বা এয়ার কন্ডিশনারে থাকা অভ্যাস হয়ে গেছে মানুষের। অফিস, ঘরবাড়িসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে আরামদায়ক পরিবেশে কাজ করার জন্য এসি ছাড়া এখন চলেই না। আধুনিক জীবনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও যুক্ত হয়েছে শীততাপ নিয়ন্ত্রণের এই ব্যবস্থা।



তবে দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকার কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রা থাকতে থাকতে শরীরেও প্রভাব পড়ে। স্বাস্থ্যগত কিছু অসুবিধার লক্ষণও দেখা দেয়। অনেকে বিষয়গুলোর সঙ্গে অবগত নন বলে জানেন না কেন হুটহাট তার শরীর খারাপ করছে।


দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকার ফলে শরীরের কী কী ক্ষতি হয়, আসুন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন থেকে তা জেনে নিই-


 ১. ডিহাইড্রেশন


দেখা গেছে যারা নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ এসি রুমে থাকেন তারা অনেক বেশি ডিহাইড্রেটেড বা পানিশূন্যতায় থাকেন। আসলে এসি ঘরের মধ্যে থেকে সব আর্দ্রতা শুষে নেয়। তাই দীর্ঘ সময় ধরে যদি এসি রুমে থাকার অভ্যাস থাকে তাহলে একটু বেশি পানি পান করুন।


২. মাথাব্যথা


এসিরুমে থাকার সব থেকে বড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে মাথাব্যথা। দেখা গেছে বহুক্ষণ এসিরুমে থাকার পর মাথাব্যথা আর মাইগ্রেনের ব্যথা অনেকেটাই বেড়ে যায়। এটা হয় মূলত এসি চললে আবহাওয়ার কোয়ালিটি কমে যায়। এছাড়াও আগেই বলেছি বেশিক্ষণ এসি ঘরে থাকলে শরীর শুকিয়ে যায় ফলে মাথা ব্যথার প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে যায়।


৩. শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত উপসর্গ


চোখ‚ নাক‚ গলায় অসুবিধা হতে পারে‚ এ ছাড়া নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা চোখ দিয়ে পানিও পড়তে পারে।গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত এসি রুমে থাকেন তাদের এইসব হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। খোলামেলা ঘরে থাকতে যাদের অভ্যাস তাদের মধ্যে এই উপসর্গগুলো তুলনামূলক কম।


৪. ক্লান্তিভাব লাগা


ঘর বা অফিসের এসি এমনভাবে বানানো হয় যাতে শরীর ঠাণ্ড হয়। এমনিতেই এসি চললে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে আসে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ফলে। তবে গবেষণা দেখা গেছে, শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ার কারণে যাদের বাড়ি বা অফিসে নিয়মিত এসি চলে তারা সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন।


আরও পড়ুন: করোনা এড়াতে স্যানিটাইজ করবেন গাড়ির যেসব অংশ


৫. ত্বকের সমস্যা


সাধারণত গরমকালে এসির ব্যবহার বেড়ে যায় বেশি। এই সময় সূর্যের তীব্রতাও অনেক বেশি থাকে। এর ফলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। দেখা দিতে পারে চুলকানির সমস্যাও। প্রখর রোদ থেকে এসিতে রুমে ঢুকা এবং দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করার ফলে চুলকানিসহ ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।


৬. অ্যাজমা-অ্যালার্জি সমস্যা


দীর্ঘ সময় এসি রুমে থাকলে অ্যাজমা আর অ্যালার্জি বেড়ে যেতে পারে। দেখা গেছে যে এসিগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না সেসব ঘরে থাকলে অ্যাজমা আর অ্যালার্জি হওয়ার প্রবণতা অনেকটা বেড়ে যায়।


৭. ড্রাই আইজ


 দীর্ঘসময় এসি রুমে থাকলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায় এর ফলে চোখ কড়কড় করবে বা চুলকাবে। চোখ জ্বালাও করতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে আবার দেখা গেছে তারা অস্পষ্ট দেখছেন।


৮. ইনফেকশাস ডিজিজ


যেহেতু দীর্ঘ সময় এসিতে থাকার ফলে নাকের প্যাসেজ শুকিয়ে যায় যায়‚ তার ফলে মিউকাস মেমব্রেনে ইরিটেশন হতে পারে বা মিউকাস শুকিয়ে যেতে পারে। এর ফলে ভাইরাস সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে।


এন এইচ, ২৯ জুলাই





মূল সংবাদটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন